আজকের যুগে যদি শ্রেণীকক্ষে কোন কারণে বিদ্যুতের সংযোগ না থাকে তাহলে এটা নিয়ে ভাবার অনেক কারণ রয়েছে। ছাত্ররা ক্লাসে যেভাবে কাজ করে তা নিয়ে বেশ ভালই একটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ছাত্ররা ক্লাসে প্রেজেন্টেশনের কাজ করে, শিক্ষকরা তাদের নম্বরটিও দিয়ে দেন কম্পিউটারেই। বাবা মায়েরা অবগত হতে থাকেন তার সন্তানের হাল হকিকত নিয়ে।
পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখতে পাই যে একজন ছাত্র একটি কম্পিউটার পায় তার পড়াশোনার কাজ করার জন্য।এটিই ঐ দেশগুলোতে স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে।
ট্রাম্বুল স্কুলের সুপারিন্টেনডেন্ট গ্যারি সিয়ালফি বলেন যে, ‘এটা খুবই অবাক করার মত ব্যপার হবে যদি আপনি ক্লাসরুমে প্রবেশ করেন এবং দেখেন যে সেখানে কোন স্মার্ট বোর্ড নেই। তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন ডেভিড সেইন্ট জারমেন। তিনি মিলফোর্ড স্কুলের মিডিয়া ও ইন্সট্রাকশনাল টেকনোলজির একজন শিক্ষক। তিনি বলেন,‘আমি মনে করি যে এটা আসলেই অসম্ভব। প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া আপনি আজকাল পড়ানোর কথা চিন্তাই করতে পারবেন না। তাছাড়া এটি আমরা আমাদের নিত্য প্রয়োজনেও ব্যবহার করে থাকি। সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া প্রয়োজন।’ওখানকার স্কুলগুলোতে দেখা যায় যদি টাকার সমস্যা থাকে তবে বাইরে থেকে তারা নানা ধরণের সাহায্য পেয়ে থাকে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের দিকে যদি আপনি তাকান, তাহলে ব্যপারটি বেশ ভালো ভাবেই বুঝতে পারবেন।এই ঘটনাটি এখন সারাবিশ্বের প্রতিফলিত হচ্ছে।যেসব স্কুলে ছাত্র ছাত্রীরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের অভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না, তাদেরকে আর্থিক ও প্রযুক্তির সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে EdneT Technology. তারা বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে এবং তাদের প্রয়োজনমত সাহায্য করে থাকে। এভাবে সেসব দেশে ছাত্র ছাত্রী প্রযুক্তিগত শিক্ষায় এগিয়ে যায়।
আমাদের দেশের মোট বাজেটের মাত্র ৩ শতাংশেরও কম ব্যবহার করা হয় শিক্ষা খাতে। এসব দেশ থেকে কি আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত নয়?
সূত্রঃ সায়েন্স টুডে