পৃথিবীর মাঝে সবচাইতে বুদ্ধিমান মানুষ কারা, তাদের একটি তালিকা বানানো হয়ত খুব বুদ্ধিমানের কিছু না। বুদ্ধিমত্তা নানা ভাবে পরিমাপ করা হয়ে থাকতে পারে। যেমন কেউ কেউ আই কিউ পরীক্ষায় বিশ্বাস করে আবার কেউ বা বিশ্বাস করে আবেগীয় নানা ধরণের পরীক্ষার ওপর। বুদ্ধিমান হওয়া সবসময় এমনটা বোঝায় না যে আপনাকে সবসময় নতুন কিছু আবিষ্কার করতে হবে কিংবা অন্য সকলের চাইতে নিজেকে আলাদা প্রমাণ করতে হবে।
পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা তাদের বুদ্ধিমত্তার সবটুকু ব্যবহার করতে পারেন নি। যেমনটি বলা যায় তারা নানা ধরণের প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন কিংবা তাদের আজকের দিনের মত এত সুযোগ সুবিধা ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা সমগ্র পৃথিবীকে চমকে দিতে সমর্থ হয়েছেন। আজ আপনাদের এমন কিছু মানুষের কথা বলা হল যাদের ধরা হয় থাকে পৃথিবীর বুকে সবচাইতে বুদ্ধিমান মানুষ হিসেবে তারা ছিলেন।
১) উইলিয়াম সিডিসঃ আমেরিকার এক বিস্ময়কর প্রতিভা। সাধারণত মানুষের বুদ্ধিমত্তার মাপকাঠি যদি ১৪০ এর ওপর যায় তাহলে তাকে বুদ্ধিমান হিসেবে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু সিডিসের এই আইকিউ ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ এর মাঝে। ধারণা করা হয়ে থাকে এটিই সবচাইতে বেশি। ১১ বছর বয়সেই সে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে এবং প্রায় ৪০টি ভাষার ওপর দখল আয়ত্ব করে। এম আই টির একজন অধ্যাপক তার সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন যে সে বড় হয়ে খুব বড় একজন গণিতজ্ঞ হয়ে উঠবে। কিন্তু আস্তে আস্তে বড় হয়ে ওঠার সাথে সাথে সিডিস প্রত্যাশা পূরণ আর করতে পারে নি। সিডিসের জন্ম ১৮৯৮ সালে ও মৃত্যু ১৯৪৪ সালে।

২) জুডিত পোলগারঃ জুডিত হাঙ্গেরিয়ান একজন দাবাড়ু। জন্ম ১৯৭৬ সাল। তাকে বলা হয় সর্বকালের সেরা মহিলা দাবাড়ু। ১৫ বছর বয়সেই জুডিত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ববি ফিশারের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে। তার আইকিউ বলা হয় ১৭০।

৩) ফিলিপ এমিগাওয়ালিঃ ১৯৫৪ সালে জন্ম নেয়া ফিলিপ নাইজেরিয়ান একজন আবিষ্কারক ও বিজ্ঞানী। আইকিউ ১৯০। তাকে বলা হয় আফ্রিকার সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী। যদিও এটি নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে।

৪) টেরেন্স টাওঃ ১৯৭৫ সালে জন্ম নেয়া চৈনিক এই প্রডিজির বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ায়। তার আইকিউ রেঞ্জ ছিল ২২০-২৩০। বর্তমানে UCLA তে একজন গণিতের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

সূত্রঃ Think Big Blog