আমাদের জীবন যাপন আরও সহজ করার লক্ষে বিজ্ঞান প্রতিনিয়তই নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করছে। “ড্রন” কথাটা পুরনো বা অনেকেই এর আগে শুনেছেন। এটি মূলত ইউএস এয়ার ফোর্স ব্যবহার করতো শত্রুদের অবস্থান সনাক্ত করা বা তাদের উপরে আক্রমন চালানোর জন্য।
ড্রনে ব্যবহারের মুল সুবিধা হল এটি চালাতে বা এর ভেতরে কোন মানুষ বা কোন পাইলটের প্রয়োজন হয় না। এটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে চালানো যায়। তবে এখন এই প্রযুক্তিটি শুধুমাত্র কোন বাহিনীর নিকট সীমাবদ্ধ নয়।
এটি এখন ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন মানব কল্যাণকর কাজে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ড্রন আবিষ্কার হয়েছে যেমন, ড্রন এ্যাম্বুলেন্স যেটি মুহূর্তেই মদ্ধেই রোগীর কাছে পৌঁছে তাকে জরুরি সেবা দিবে। আরও আছে খাবার বা নিত্যদিনের পণ্য পৌঁছানোর কাজে ব্যবহৃত ড্রন, ইত্যাদি।
তারই ধারাবাহিকতায় “এয়ারওয়্যার” নতুন ধরনের ড্রন নিয়ে এসেছে। এটি মূলত নির্মাণ কাজে ব্যবহার হবে। যেমন কোন তেল বা খনিজ পদার্থ উত্তোলন কারি প্রতিষ্ঠান তাদের দুর্ঘটনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এটি ব্যবহার করে জরীপ কাজ চালাতে পারবে।
কোন বিল্ডিং যদি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে তবে এটি তার উপরে উরে যেয়ে সকল থরনের কম্পিউটিং তথ্য দিবে। কোন জঙ্গলে বা এমন স্থানে যদি কেউ হারিয়ে যায় তবে তাকে খুঁজে বের করতেও এটি ঠিক একই ভাবে সাহায্য করবে।
কোম্পানি ২ ধরনের ড্রন বাজারে ছেড়েছে। এক মদ্ধে একটি হেলিকাপ্টারের মতন এবং আরেকটি প্লেনের মতো। ২ টি চলবে স্বয়ংক্রিয় রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে। ব্যবহার কারিদের মতে, এর থেকে ভাল মানের ড্রন তারা এর আগে কখনো ব্যবহার করেনি। এবং এটি এটি এতোটাই উন্নত যে একে অনেক দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় যাকিনা অন্যান্য ড্রনে সম্ভব হয়ে ওঠে না।
একটি ভিডিও শেয়ার করছি, এটি দেখলে নতুন ড্রন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ধারনা পাওয়া যাবে।
তাদের কথা শুনে বলতেই হয় যে, আমাদের দেশের ছেলে মেয়ারা এখন আর পিছিয়ে নেই। কারন আমরাও দেশিও প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর আগে ড্রন তৈরি করে দেখিয়েছি। এমনকি সেটি সফলভাবে ওড়াতেও সক্ষম হয়েছি। মনে আছে কিছুদিন আগে সুন্দরবনে ট্রলার ডুবে চারিদিকে ফার্নেস ওয়েল ছড়িয়ে পড়েছিল। তখন কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের এক ক্ষুদে বিজ্ঞানি তার তৈরি ড্রন ব্যবহার করে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলো।