টমাস আলভা এডিসন প্রায় একশো বছর আগে বিদ্যুৎ ধরে রাখার জন্য ব্যাটারি আবিস্কার করেছিলো। তবে বর্তমানে কেউ আর সে ব্যাটারি ব্যাবহার করতে চাইনা তার কিছু কারনও আছে। প্রথম কারন, এই ব্যাটারি চার্জ হতে অনেক সময় লাগে। দ্বিতীয় এটি আকার এবং ওজন অনেক বেশী। ব্যাবহারে অনেক ঝামেলা এবং ব্যাবহুল। এই ব্যাটারি ব্যাবহারের আরেকটি মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে এসিড। এই ব্যাটারির ভেতরে থাকে লিকুইড এসিড যা মানুষের ত্বকের জন্য মারাত্মক হতে পারে। যারা এই ব্যাটারি দেখেছেন তারা জানেন। সাধারণত এই ব্যাটারি এখনো ব্যাবহার হয় আইপিএস বা ব্যাটারি চালিত মোটর গাড়িতে।
বর্তমানে এডিসনের ব্যাটারির যে নতুন সংস্করণ টি আসতে চলেছে সেটি তৈরিতে মূল ব্যাটারির জন্য ক্যাথোড বা ঋণাত্বক দণ্ড তৈরি হয়েছে নিকেল দিয়ে এবং অ্যানোড বা ধণাত্বক দণ্ড তৈরি হয়েছে লোহা দিয়ে। পুরো ডণ্ডটি ভিজিয়ে রাখা হয়েছে ক্ষারধর্মী উপাদানে। ব্যাটারিতে বিদ্যুত পরিবাহী হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে কার্বন। গবেষণা চলাকালীন এই ব্যাটারির কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েরর বিজ্ঞানীরা কার্বনের পরিবর্তে গ্রাফিন নামের একধরনের অণু পরিমাণ পুরু কার্বনের পাত ব্যবহার শুরু করেছেন। ফলে ব্যাটারির চার্জ ধরে রাখা এবং চার্জ করার সময় একশ’ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে যে ব্যাটারি তৈরি হয়েছে সেটি দিয়ে একটি টর্চ লাইট জ্বালানো যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের ভেতরে গবেষকেরা এই নতুন সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করতে পারবেন। আর যদি সেটি সত্যি হয় তবে যে অনুন্নত বা গরিব দেশ আছে যারা কিনা এটি ব্যাবহার করে তারা বেঁচে যাবে। কারন এই ব্যাটারিতে এসিডের পরিমাণ খুব কম থাকবে আর যতটুকু থাকবে সেটি সহনশীল পর্যায়ে। আর এই ব্যাটারির উৎপাদন খরচ ও অনেক কম তাই গ্রাহক পর্যায়ে এটির দামও হবে কম।