বলছি একজন ভারতীয় স্কুল বালিকার কথা
তের বছর বয়সী মানসা মেন্ডু যখন বাতাসে গাছের শাখার দোল দেখছিল তখনই তার মাথায় বুদ্ধিটা আসে। সে দেখতে পায় যে এই নড়াচড়াগুলো হচ্ছে একটি পিয়েজোইলেকট্রিক যন্ত্রের মত। এটি একটি ক্ষুদ্র যন্ত্র যার মাধ্যমে কম্পন থেকে শক্তি তৈরি করা যায়। এই চিন্তাটিই তাকে এমন একটি গ্যাজেট তৈরির প্রেরণা যোগায় যার ফলে সে নবায়নযোগ্য শক্তি বিষয়ক একটি গ্যাজেট তৈরি করেছে।
সে তার এই আবিষ্কারের জন্য “শিক্ষা বিষয়ক আবিষ্কার” ক্যাটাগরীতে সেরা পুরষ্কার পেয়েছে। “সৌর পত্র” থেকে সাহায্য নিয়ে সে সূর্যের আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করে তার এই ক্ষুদ্র গ্যাজেটের সাহায্যে। যখন শক্তিশালী বাতাস বয়ে যায় কিংবা গাছের পাতায় বৃষ্টির পানি পড়ে, তখনও এই গ্যাজেট কম্পনের সাহায্যে শক্তি সংগ্রহ করতে পারবে।

গ্যাজেট তৈরির একদম প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথমে মানসা বাতাসের শক্তি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে। তার কাছে মনে হয়েছিল গ্রামাঞ্চলের মানুষ কিভাবে এই শক্তিটি তাদের কাজে লাগাতে পারবে যেখানে টারবাইন সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই নেই। কিন্তু যখন মানসা তার পরিকল্পনাটিকে আরো উন্নত করতে শুরু করে, তখন তার মনে ধারণা সে যে সে এটিকে আরো ভালো করে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবে।
মানসা একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “ আমি বুঝতে পারছি যে আমাদের প্রকৃতিতে শক্তির এমন নানা উৎস রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কম জানি। আমার এই ডিভাইসকে যদি অনেকগুলো শক্তির সমন্বয়ে চালানো যায়, তবে এটি আরো ভালোভাবে কাজ করবে।”
মানসার এই প্রোটোটাইপ যন্ত্রটি তিনটি সৌর পত্র নিয়ে কাজ করতে সমর্থ। দিনে একবার চার্জ দিলে এটি ১৫ ওয়াটের একটি বাল্বকে ১৫ ঘন্টা পর্যন্ত জ্বালিয়ে রাখতে সক্ষম হবে। কিন্তু যদি আরো পত্র এতে যোগ করা যায়, তাহলে যন্ত্রটি আরো কর্মক্ষম হবে।

মানসার এখনই যন্ত্রটি বাজারজাত করবার ইচ্ছা নেই। কারণ, এর আরো কিছু প্রক্রিয়াজাত কাজ রয়েছে। কিন্তু যদি এটি বাজারে ছাড়া হয়, তাহলে বাংলাদেশী টাকায় এর দাম পড়বে ৪০০ টাকার মত।
সূত্রঃ Fastcoexist.com