তথ্য ও প্রুযুক্তি কি তা বর্তমান বিশ্বকে আর নতুন করে বলে দিতে হয় না। চোখের সামনে আমরা যা-ই দেখছি তার সবই তখ্য-প্রযুক্তির অবদান। একথা অনস্বীকার্য। মূল কথা হল, আমরা আজ যে, প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে নানা সুবিধা নিচ্ছি তার পিছনের মানুষগুলোকে কতজন জানি আমরা? আসলে একেবারেই যে জানি না তা নয়। হয়তো কম বা বেশি। আজকের পোষ্টি সাজানো হয়েছে এমন কতগুলো মানুষকে নিয়ে যারা চির স্মরনীয় !!
ইউটিউব (YouTube) এর জনক:
ইউটেউব একটি ভিডিও আদান প্রদানকারী ওয়েবসাইট। ওয়েব ২.০ এর অন্যতম কর্নধার ইউটিউব বর্তমান ইন্টারনেট জগতের একটি অন্যতম ভিডিও শেয়ারিং সাইট যা এর সদস্যদের ভিডিও আপলোড, দেখা, আর আদান প্রদানের সুবিধা দান করে আসছে। এ সাইটে আরো আছে তথ্য পর্যালোচনা ও অভিমত প্রদান সহ নানা ধরনের প্রয়োজনীয় সুবিধা। ২০০৫ সাল্রে ১৪ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির জনক পেপাল প্রতিষ্ঠানের তিন প্রাক্তন চাকুরীজীবি- চ্যাড হারলি, ষ্টীভ চ্যান আর বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত জাভেদ করিম।
এক নজরে তারা:
১. চ্যাড হারলি : জন্ম- ১ জানুয়ারী, ১৯৭৭। জন্মস্থান : পেনসিলভেনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।
২. ষ্টীভ চ্যান : জন্ম- আগষ্ট, ১৯৭৮। জন্মস্থান : তাইপে, তাইওয়ান।
৩. জাভেদ করিম : জন্ম- ১৯৭৯। জন্মস্থান : মার্সেবার্গ, জার্মানী।
লেজার (Laser) এর জনক:
লেজার (Light Amplification by Stimulated Emission of Radiation) বলতে শক্তিশালী আলোকতরঙ্গ গুচ্ছকে বুঝায়, যার প্রতিটি তরঙ্গের দৈঘ্য ও দশা এক এ অভিন্ন। অর্থ্যাত লেজার হচ্ছে সুসমন্বিত আরোক রশ্মি। চিকিতসাক্ষেত্রে, ভিডিও, অডিও, যন্ত্রপাতিতে, সিডি, ডিভিডি, প্লেয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি তথা কম্পিউটার, প্রিন্টার, ইন্টারনেট, প্রকৌশল কাজে, পারমানবিক পরীক্ষায় প্রায় সর্বত্রই ব্যবহূত হচ্ছে লেজার। বিজ্ঞানী আলবার্ট আইন্টাইনের মাথাতেই সর্বপ্রথম আলোকরশ্মি ঘনিভূতকরনের বিষয়টি আসে। এবং ১৯১৭ সালে এব্যপারে একটি তত্ত্বও দেন। সেই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করেই ১৯৬০ সালের ১৬ মে বিজ্ঞানী থিওডোর মেইম্যান আবিস্কার করেছিলেন লেজার।
এক নজরে তিনি:
পুরো নাম: থিওডোর হ্যারোল্ড টেড মেইম্যন। জন্ম: ১১ জুলাই। জন্মস্থান: লস এঞ্জেজস, যুক্তরাষ্ট্র। নাগরিকত্ব: মার্কিন। ক্ষেত্র: পদার্থবিজ্ঞান।
মাইক্রোসফট (Microsoft) এর জনক:
মাইক্রোসফট এর জনক হিসাবে আমরা এক নামেই জানি শুধু বিল গেটস কে। আসলেই কি তাই? বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৃহত্তম কম্পিউটার প্রযুক্তি প্রতিষ্টান মাইক্রোসফট কর্পোরেশন এর প্রতিষ্টাকাল ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল। এর প্রতিষ্টাতা বিল গেটস এবং পল এ্যালেন। ১৯৮১ সালের ২৫ জুন মাইক্রোসফট সম্মিলিত এবং সাংগঠনিকভাবে রূপ লাভ করে। ১৯৮১ সালের ১২ আগষ্ট ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন(আইবিএম)- এর সাথে চুক্তিবদ্দ হয়ে এমএস-ডস ১.০ ভার্সন বাজারে ছাড়ে। ২২ মে ১৯৯০ সালে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন বিশ্বের দরবারে পরিচিতি নিয়ে আসে উইন্ডোজ ৩.০০ ভার্সনের মাধমে।
এক নজরে তারা:
১. বিল গেটস: জন্ম- ২৮ অক্টোবর ১৯৫৫। জন্মস্থান: ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র। নাগরিকত্ব: মার্কিন।
২. পল এ্যালেন: জন্ম- ২১ জানুয়ারী, ১৯৫৩। জন্মস্থান: ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র। নাগরিকত্ব: মার্কিন।
এটিএম (ATM) এর জনক:
ব্যাংকিং খাতে টাকা পয়সা তোলার যন্ত্রের নাম এটিএম(Automated Teller Machine)। এটিএম এর প্রথম ধারনা জন শেফার্ড ব্যারন এর ধারনাতেই আসে। যন্ত্র থেকে নগদ অর্থ তোলার জন্য চার অঙ্কের একটি পিন(Personal Identification Number) কোড এর ধারনাটিও তার। চকোলেট ভেল্ডিং মেশিন(চকোলেট বিক্রি করার স্বয়ংক্রিয় মেশিন) দেখেই তিনি এটিএম মেশিন আবিস্কারের চিন্তা করেন। ১৯৬৮ সালের ২৭ জুন বার্কলেস ব্যাংকের লন্ডল এনজিও শাখায় প্রথম এটিএম স্থাপন করা হয়। মেশিনটি পিন নাম্বার এর ভিত্তিতে কাজ করতো।
এক নজরে তিনি:
পুরো নাম: জন শেফার্ড ব্যারন। জন্ম: ২৩ জুন ১৯২৫। জন্মস্থান: শিলং, ভারত। মৃত্যু: ১৫মে ২০১০। জাতীয়তা: ব্রিটিশ।
আশা করছি কিছু হলেও আপনাদের সামনে নতুন তথ্য তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছি। হয়তো সামনে আরো কোন প্রযুক্তির জনকদের আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারবো। আর হ্যা, প্রযুক্তির জনকদের সাথে আপনার বন্ধুদের পরিচয় করিয়ে দিতে পোষ্টিকে ফেসবুকে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন। 🙂
সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। 🙂