অনেক দিন পর আবার বিজ্ঞান প্রযুক্তি তে লিখছি। সবাইকে ধন্যবাদ আমার আগের পোস্ট টি সম্পর্কে ভাল মত দেয়ার জন্য, সেটির ধারাবাহিকতায় আজ আপনাদের জন্যই লিখছি। কোন ভুল ধরা পরলে অধম ভেবে ক্ষমা করবেন। এবং জানাবেন। আগের পোস্ট টি না পরে থাকলে এখানে পড়ুন http://www.bigganprojukti.com/post-id/16539
আজ লিখব ডি এন এর মৌলিক পরিচয় এবং এর সম্পর্কে সামান্য কিছু।
ডি এন এ (Deoxyribonucleic acid) মূলত অক্সিজেন, কারবন, নাইট্রোজেন, এবং হাইড্রোজেন এর দ্বারা গঠিত মাইক্রোমলিকিউল। এটি একটি নিউক্লিক এসিড যার মাঝে বংশ বিস্তার এবং জীবের বেড়ে ওঠা এবং তার সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য (জেনেটিক ইনফরমেশন) এনকোডেড থাকে। এর গঠন সাধারণত এর বেস পেয়ার মলিকিউলের চেইন হয়ে থাকে ।
যখন বাবা মায়ের ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর সংমিশ্রণ হয় , তখন দুটোর মিশ্রণে বাচ্চার প্রথম ডি এন এ তৈরি হয়, যা থেকে ধীরে ধীরে কোষ বিভাজনের সময় আরও ডি এন এ তৈরি হতে থাকে, ডি এন এ যে কোন সেল এর নিউক্লিয়াস এর মাঝে কন্ডেন্সেড এবং সামান্য পরিমাণে মাইটোকন্ড্রিয়া এবং ক্লোরোপ্লাস্ট এর মাঝে থাকে। যে কেন জীবের প্রায় সকল ডি এন এ একি হয়ে থাকে। যেমন যেকোনো পদার্থের সব এটম এক হয়ে থাকে।
ডি এন এ কে আপনার বংশ বিস্তারের ব্লু প্রিন্ট বলতে পারেন, ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মিশ্রণের সময় শুক্রাণুর মাইটোকন্ড্রিয়াল ডি এন এ বাদ যায়, এবং শুধু মায়ের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডি এন এ স্থান পায়। তবে নিউক্লিয়ার ডি এন এ অপরিবর্তিত থাকে। এভাবে এ পরীক্ষা করে আপনি যে কার সাথে আপনার পূর্ব পুরুষের পরিচয় মিলাতে পারেন।
আমি আগের লেখায় বলেছিলাম এটি একটি ডাটা ব্যাংক কারণ এতে এত পরিমাণ তথ্য জমা থাকে যে তা লিখতে গেলে হয়ত মিলিওন কপি বিশ্বকোষ লেখা যাবে। আপনার যাবতীয় সকল তথ্য এবং আপনার পূর্ব পুরুষের সকল তথ্য এতে আছে। যেমন আপনার ঠাণ্ডা লেগেছে? আপনি এর থেকে মুক্তি পেলেন। কিন্তু কিভাবে??? :O হাজার বছর আগে আপনার কোন পূর্ব পুরুষের ডি এন এ অ্যান্টিবডি ব্যক্টেরিয়ার এবং ভাইরাস এর সাথে যুদ্ধ করতে শিখেছিল যা আপনার থাইমাস গ্লান্ড এ সংরক্ষিত আছে। আপনার ইমিউন সিস্টেম আপনার সকল পূর্বপুরুষ (আদম আঃ পর্যন্ত) এর সকল তথ্য সম্বলিত।
একেকটি ডি এন এ যেন একটি একটি ছোট অন্তর, যা সবকিছু পরিচালনা করে, ধরুন আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। আপনার একটি রক্তকণিকায় ২৮০ মিলিওন হিমোগ্লোবিন এটম রয়েছে জাত প্রত্যেকটি আট টি অক্সিজেন এর সাথে রি-একশন করে। এভাবে আপনার শরীরে প্রতিটি নিঃশ্বাসে ১১ ০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০ (১০^২১) অক্সিজেন প্রবেশ করছে। আর এর সবকিছুই পরিচালিত হচ্ছে ডি এন এর মাধ্যমে, এমনকি আপনার চিন্তাশক্তি ও আপনার ডি এন এ দ্বারা পরিচালিত।
এক কথায় বলতে গেলে এর দ্বারা যে কত কিছু করা সম্ভব তা বলে শেষ করা যাবেনা ক্লোনিং, জেনেটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে শুরু করে অপরাধী বা লাশ শনাক্তিকরন পর্যন্ত অসংখ্য কাজ করা সম্ভব যা স্বল্প পরিসরে লিখে শেষ করা যাবে না।
ভাল লাগলে অবশ্যই জানাবেন আর কোন প্রশ্ন থাকলে তো কমেন্ট বক্স তো আছেই! 🙂
onek na jana tottho janta parlam .. thanks
পড়ার জন্য ধ্বন্যবাদ
nice post
thank u brother, please share it
নতুন কিছু জানলাম, ধন্যবাদ
শিক্ষণীয় পোস্ট ++
thanks for beautiful and informative post.