জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম হচ্ছে বিশেষ ধরণের ফ্রিকোয়েন্সির উপর ভিত্তি করে কোন বস্তুর সূক্ষèতম অবস্থান নির্ণয়ের পদ্ধতি। জিপিএসের গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু হয়েছিলো মিলিটারি পজিশনিং নেভিগেশন এবং অস্ত্রের লক্ষ্যস্থির করার সহায়ক কৌশল হিসেবে। সর্বপ্রথম ১৯৬৭ সালে স্যাটেলাইট ট্রানজিট উৎক্ষেপণ করা হয়। এতে কোন টাইমিং ডিভাইস ছিলো না। পজিশন নির্ণয়ে রিসিভার বাই-ডিফল্ট ১৫ মিনিট সময় ধরে নিত; প্রয়োজনীয় ক্যালকুলেশন এবং সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য। পরবর্তীতে জিপিএস ভিত্তিক অন্যান্য কাজ করার জন্য স্যাটেলাইট ছাড়া হয় ১৯৭৮ সালে। ১৯৮৪ সালে জিপিএস ব্যবহার করে বিশেষায়িত কাজগুলো করার জন্য প্রযুক্তিটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। কিন্তু, ২০০০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা খাতের নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার অজুহাতে পুনরায় এর ব্যবহার সীমিত করে দেয়া হয়। অদ্যাবধি এই সীমিতায়ন বহাল রয়েছে। আমরা এখন জানব জিপিএস এর কর্মপদ্ধতি।
জিপিএস এর সামগ্রিক মেইনটেন কাঠামো তিন ভাগে বিভক্তঃ-
- ১- মহাকাশ বিভাগ
- ২- নিয়ন্ত্রণ বিভাগ
- ৩- ব্যাবহার কারী কিংবা ভোক্তা বিভাগ
মহাকাশ বিভাগঃ-
এ বিভাগে মূলত রয়েছে চারটি স্যাটেলাইট। স্যাটেলাইটগুলোর কক্ষপথ এমন ভাবে প্রোগ্রাম করা আছে যেন যে কোন সময়ে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের আকাশে কিংবা ভূমিতে অবস্থিত কোন বসÍুর অবস্থান সূক্ষèভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়। প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১২ হাজার মাইল বেগে এই স্যাটেলাইটগুলো দৈনিক দু’বার করে প্রদক্ষিণ করছে আমাদের এই পৃথিবীকে। যুক্তরাষ্ট্রের এই স্যাটেলাইটগুলোর ওজন ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার পাউন্ডের কাছাকাছি। তবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আরো বিভিন্ন দেশ যেমন রাশিয়া, চীন, জাপান, ইরান ইত্যাদি দেশগুলোও মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে কিংবা পাঠাচ্ছে। কিন্তু, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় যুক্তরাষ্ট্র অগ্রসর হওয়ায় তাদের পাঠানো স্যাটেলাইটগুলো অধিক ফলপ্রসু রেজাল্ট প্রদান করে থাকে।
নিয়ন্ত্রণ বিভাগঃ-
জিপিএস স্যাটেলাইটগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক পর্যবেক্ষণের জন্য বেশ কিছু গ্রাউন্ড ষ্টেশন বা মনিটরিং ষ্টেশন রয়েছে। এই ধরণের বেস ষ্টেশনের সংখ্যা প্রায় পাঁচটি। বৃহৎ আমেরিকার কলোরাডোর স্প্রিং-এ রয়েছে মাস্টার কন্ট্রোল ষ্টেশন কিংবা মেইন সেন্টার। এই ষ্টেশনটি অন্যান্য গ্রাউন্ড ষ্টেশন থেকে ডাটা কালেক্ট করে। এবং প্রয়োজনীয় ইনস্ট্রাকশন ও স্যাটেলাইট নেভিগেশন মেসেজ আপডেট করে থাকে।
ব্যবহারকারী বা ভোক্তা বিভাগঃ-
কক্ষপথে অবস্থানরত স্যাটেলাইটগুলো মাস্টার কন্ট্রোল ষ্টেশন থেকে ডাটা কালেক্ট করে এবং এদের পাঠানো সিগন্যাল রিসিভ করে লোকাল ইউজারের জিপিএস রিসিভার। এই রিসিভার প্রাপ্ত সিগন্যাল প্রসেসিং করে ইউজারের কাঙ্খিত লোকেশন নির্ণয় করে থাকে।
জিপিএস এর ব্যবহারঃ-
সাধারণত জিপিএস এর ব্যবহার পাঁচ ভাগে ভাগ করা যেতে পারেঃ-
- পজিশনিং
- নেভিগেশন
- টাইমিং
- ম্যাপিং
- ট্র্যাকিং
মিলিটারি কমিউনিকেশন, এন্টারটেইনমেন্ট, টেকনোলজি, ইন্ডাষ্ট্রি ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপরোক্ত ক্যাটাগরিতে জিপিএস ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমান দৃষ্টিকোণ থেকে জিপিএস হচ্ছে সারা বিশ্বজুড়ে স্থাপিত কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক উন্নত রেডিও পজিশনিং সিস্টেম। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে জল, স্থল কিংবা আকাশ পথে যে কোন বস্তুর ত্রিমাত্রিক অবস্থান, গতিবেগ ইত্যাদি লোকেট করা যায়। বের করা যায় পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের রাত-দিন, সময়-আবহাওয়া। জেমস বন্ডের রোমাঞ্চ ভরা ছবির মত খুঁজে নেয়া যায় শত্রু কিংবা বন্ধুকে।
অসাধারণ পোস্ট…. 🙂
অসাধারণ মন্তব্য!:shock::shock:
ভাইয়া, মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ..। আসলে ততোটা অসাধারণ নিশ্চয়ই হয়নি..! তবুও, ভালো বলেছেন দেখে ভালো লেগেছে। শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন অহর্নীশ।
ভাল লেখা।ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ…। শুভ কামনা জানবেন…।
Amar java handset a ki gps babohar korte parbo?
সেটের কনফিগারেশন দিয়ে দেখতে পারেন। না জেনে বলতে পারছি না..। আমি আবার খুব একটা বিশেষজ্ঞ নই কিনা..! শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন।
bro can i track a mobile number location with gps?
if it is possible, please tell me how?
because i have lost my most valuable number.
মোবাইল নাম্বার ট্র্যাক করার উন্মুক্ত কোন ব্যবস্থা আছে কিনা, আমার জানা নেই..। গ্রামীণ নাম্বার আগে ট্র্যাক করা যেতো..। এখন সেটা চালু আছে কিনা জানি না..। তবে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি থাকলে, যেকোন টেলিকম সেবাদানকারী কোম্পানী থেকে ট্র্যাকিং সুবিধা পাওয়া যাবে..। শুভ কামনা রইলো..। ভালো থাকুন।