“কার” বড় বাচ্চাদের খেলনা বলে মনে করা হয়। ছোট বেলায় আমারা সবাই খেলনা গাড়ি চালিয়েছি। তখন ভাবতাম বড় হয়ে একটি সত্যি কারের গাড়ি কিনবো সেটি চালিয়ে বেড়াবো। অনেক ক্ষেত্রে স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যায় সত্যি আর হয়না। তবে মনের মদ্ধে যে ইচ্ছাটি ছোট বেলা থেকেই ধারন করা থাকে সেটি কিন্তু রয়েই যায়।
আজকে আপনাদের জানাবো ২০১৪ সালের বিশ্বে কোন গাড়ি বা কার গুলো বেশী বিক্রি হয়েছে।
#১০ সেভ্রলেট ক্রুজ- মোট বিক্রয় হয়েছে ১৭৬,৫৩৭ ইউনিট
জেনারেল মোটরস অনেকদিন পরে একটু সফলতার মুখ চোখে দেখল। তাদের তৈরি “সেভ্রলেট ক্রুজ” মডেলের গাড়িটি এবার উঠে এসেছে সেরা বিক্রীত গাড়ির তালিকায়। গাড়িটির নতুন নতুন কিছু আকর্ষণীয় ফিচার মানুষের নজর কেড়েছে। গাড়িতে আছে উন্নত প্রযুক্তির অ্যালার্ম সিস্টেম, ইউএসবি পোর্ট, এবং ৪জি এলইটি কানেকশন।
#০৯ টয়োটা ক্যমরি- মোট বিক্রয় হয়েছে ১৭৮,৭০৫ ইউনিট
টয়োটার জন্য গত বছর ছিল বেশ সফলতম একটি বছর। টয়োটা ক্যমরি দিয়ে টয়োটা প্রথম যায়গা করে নিয়েছে এই কাউন্টডাউনে। মূলত এই গাড়িটিকে ইউএসএর বাজারে বেষ্ট সেলিং গাড়ি হিসেবে ধরা হয়।
#০৮ ভস্কওয়াগেন পোলো- মোট বিক্রয় হয়েছে ১৮৪,৯৩১ ইউনিট
ভস্কওয়াগেন কে নিঃসন্দেহে একটি মানসম্পন্ন বা সবার প্রিয় গাড়ি তৈরি প্রতিষ্ঠান বলা যায়। তাদের তৈরি পোলো মডেলের একটি কার এবার যায়গা করে নিয়েছে বহু বিক্রীত গাড়ির ৮ নম্বর স্থান। ছবিতে যেমন দেখছেন পোলো মডেলের গাড়িটি কিন্তু খুব সুন্দর এবং ছোট্ট একটি কার। ছোট পরিবারের ব্যবহারের জন্য একটি সতী অসাধারণ একটি কার। এতো বেশী বিক্রীত হবার অন্যতম একটি কারন হল এটির দাম। পোলো মডেলটি মোটামুটি সবার ক্রয় ক্ষমতার ভেতরেই রাখা হয়েছে। ইউএসএর বাজারে পোলো দাম ধরা হয়েছে ডলার
# ০৭ ফোর্ড ফিয়েস্তা- মোট বিক্রয় হয়েছে ১৮৪,৯৪৯ ইউনিট
টয়োটার মতো ফোর্ডের ৩টি কার এই তালিকায় যায়গা করে নিয়েছে। এর মদ্ধে ফিয়েস্তা আছে ৭ নম্বরে। গাড়িটার সুন্দর আউটলুক কম দাম এবং বহু ব্যবহার গাড়িটিকে করেছে সত্যি অনেক সুন্দর। আমি যতদূর জানি বাংলাদেশের বাজারে গাড়িটির দাম ধরা হয়েছে ২৪.৫ লক্ষের মতো।
#০৬ ফোর্ড এফ-২৫০- মোট বিক্রয় হয়েছে ১৯৯,৪৩১ ইউনিট
যারা ব্যক্তিগত কারের পাশাপাশি একটি ৪ হুইল ড্রাইভের মিনি পিকআপ ব্যবহার করতে চান তাদের জন্য এটি বেষ্ট একটি গাড়ি। এটি ইউএসএর বাসিন্দাদের কাছে অন্যতম পছন্দসই একটি গাড়ি। তার কিছু কারন আছে। আপনি একটি কার প্লাস ট্রাক ২টির সাধ মেটাতে পারছেন এই একটা গাড়ির মাধ্যমে। আরেকটি আকর্ষণীয় ব্যপার হচ্ছে, গাড়িটি অন্যান্য গাড়ির থেকে খুবই কম জ্বালানি খরচ করে। যেটি বর্তমান বাজারের সবথেকে বেশী চাহিদার ব্যপার।
#০৫ হুইন্ডাই এলান্ট্রা- মোট বিক্রয় হয়েছে ২০০,২২০ ইউনিট
হুইন্ডাই নামটি শোণা শোণা মনে হচ্ছে না? হ্যাঁ বাংলাদেশেও এই কোম্পানির গাড়ি এখন চোখে পরে। সাউথ কোরিয়ান কোম্পানি হুইন্ডাই এর এলান্ট্রা মডেলের গাড়িটি আছে তালিকার ৫ নম্বরে। কোম্পানিটি খুব ধিরে ধিরে আগাচ্ছে তবে তাদের যাত্রা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তাঁরা বেশ সফল। এটি ছারা বর্তমান বাজারে তাদের আরও অন্য মডেলের গাড়ি আছে যেগুলো বেশ বিক্রি হচ্ছে। হুইন্ডাই কোম্পানির গাড়ি কেনার অন্যতম একটি কারন হল এর আকর্ষণীয় চেহারা এবং কম দাম। তবে জাপানি কারের মতো এটি মান কেমন হবে সেটি সম্বন্ধে জ্ঞানী ব্যক্তিরাই ভালো বলতে পারবে। ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে হুইন্ডাই কার বেশ ভালই লাগে। উপরের মডেলের গাড়িটির দাম বাংলাদেশের বাজারে ৩১.৫ লক্ষের মতো (প্রায়)।
#০৪ উইলিং হঙ্গুয়ান- মোট বিক্রয় হয়েছে ২১০,১০৯ ইউনিট
আপনার যদি চাইনা প্রস্তুতকৃত গাড়ি ভালো না লাগে তবে নিঃসন্দেহে সেই ধারণা ভুল করে দিবে এই কারটি। ইতিমধ্যে এই গাড়িটি চাইনার বাজারে বেষ্ট সেলিং বা সব থেকে বেশি বিক্রীত গাড়ির তালিকার ১ নম্বর যায়গা নিয়ে নিয়েছে। গাড়িটি সর্বপ্রথম বাজারে আসে ২০১০ সালে এর পরে ধিরে ধিরে সেটি বাজারে জনপ্রিয় হতে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে এই কারটি সুনামের সাথে বিক্রি হছে। এবং ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কের ৪ নাম্বার যায়গা নিয়ে নিয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি প্রশংসনীয়।
#০৩ ভস্কওয়াগেন গলফ্- মোট বিক্রয় হয়েছে ২২৩,২৪৯ ইউনিট
ভস্কওয়াগেনের আরেকটি মডেল “গলফ্” আছে তালিকার ৩ নাম্বারে। এটি ১৯৭৪ সালের বের হওয়া মডেলের দ্বিতীয় সংস্করণ। এন্ট্রি লেভেলের কারের মদ্ধে এটি বহু বিক্রীত একটি কার। “ভস্কওয়াগেন গলফ্” মডেলে ব্যবহার করা হয়েছে এমকিউবি প্রযুক্তি যেটি সম্প্রতি “অডি এ৩” তে ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িটি এতো জনপ্রিয় হবার তিনটি কারন আছে। যেমন আপনি এই গাড়িটি একই সাথে তেল এবং সিএনজি দিয়ে চালাতে পারবেন ও হ্যাঁ এটির কিন্তু হাইব্রিড ভার্শনও আছে বাজারে।
#০২ ফোর্ড ফোকাস- মোট বিক্রয় হয়েছে ২৫৬,২৮৪ ইউনিট
ফোর্ডের “ফোকাস” মডেলের গাড়িটি দ্বিতীয় সংস্করণ প্রথমটি বের হয়েছিলো ১৯৯৮ সালে। এটি বর্তমানে ইউকে এবং ইউএসএর বাজারে অন্যতম চাহিদা সম্পন্ন একটি গাড়ি। দেশ ২টি তে এখন সব থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে এই মডেলের গাড়িটি। এটির অন্যতম কারন এর কম দাম, সুন্দর চেহারা, আধুনিক প্রযুক্তি এবং অবশ্যই কম জ্বালানি ব্যবহার করা।
#০১ টয়োটা করলা- মোট বিক্রয় হয়েছে ২৭৬,৭৬৬ ইউনিট
টয়োটা আবারো প্রমান করলো যে গাড়ির বাজারে তারাই সর্বশেরা। বর্তমানে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর যে প্রান্তেই তাকান না কেন টয়োটার গাড়ি দেখতে পাবেন। বিগত কয়েক বছর ধরে টয়োটা তার বাজার ধরে রেখেছে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। টয়োটা অপ্রতিদ্বন্দ্বী হবার কারন এর কোয়ালিটি এবং রিসেল ভেলু। টয়োটা কখনোই তার কোয়ালিটির সাথে কম্প্রোমাইজ করেনি। কোম্পানিটি তার গ্রাহককে সর্বচ্চ মান এবং সেবা দিয়ে এসেছে। তাই আজও এই কোম্পানির গাড়ি কেনার সময় তার মান নিয়ে প্রশ্ন করে না। করলা মডেলের গাড়িটি একই সাথে জাপান এবং ইউএসএর বাজারে সবথেকে বেশী বিক্রীত কার।