অ্যাপলের সিইও বরাবরই দাবি করে আসছেন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম তার ম্যাকিনটশেরই নকল। তবে তাকে কখনো এমনটি বলতে শোনা যায়নি যে, ম্যাকেও বেশ কিছু সুবিধা বা বৈশিষ্ট্য উইন্ডোজ থেকে নকল করা হয়েছে। হয়তো আপনিও কখনোই শোনেননি বা ভেবে দেখেননি ম্যাক কখনো উইন্ডোজের নকল করেছে কি না। সত্য কথা হচ্ছে এই যে, উইন্ডোজ ম্যাক থেকে নকল একটু বেশি করলেও ম্যাক যে একেবারেই নকল করে তৈরি হয়নি তেমনটা ভাবা ভুল। ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমেও এমন অনেক সুবিধা বা বৈশিষ্ট্যই আছে যেগুলোর আবিষ্কারক মূলত মাইক্রোসফট উইন্ডোজ। এর আগের পর্বে ছিল যে ১০টি ফিচার ম্যাক থেকে নকল করেছে উইন্ডোজ। আজকের পর্বে আসুন জেনে নেয়া যাক ১০টি ফিচারের কথা যেগুলো মাইক্রোসফট উইন্ডোজ থেকে মেরে দিয়েছে ম্যাক।
ফাইন্ডার সাইডবার
হার্ডড্রাইভের ফোল্ডারসমূহ ব্রাউজ করার সময় সাইডবারে যে শর্টকাটগুলো দেখানো হয় এগুলো সর্বপ্রথম উইন্ডোজে দেখা যায়। উইন্ডোজ এক্সপিতে সর্বপ্রথম এই সুবিধা যোগ হওয়ার পর ওএস এক্স প্যানথারে অ্যাপল ফাইন্ডার সাইডবার নামের এই সুবিধা যোগ করে। উল্লেখ্য, উইন্ডোজে একে উইন্ডোজ নেভিগেশন প্যান বলা হয়।
ম্যাক পাথ বার
ম্যাক ওএস এক্স লেপার্ডে একটি নতুন সুবিধা দেখা যায় যাকে ম্যাক পাথ বার বলা হয়ে থাকে। ফোল্ডার উইন্ডোতে যেকোনো সিলেক্টেড ফোল্ডারের অবস্থান দেখানো হয় উইন্ডোর নিচের অংশে। এখান থেকে দ্রুত যেকোনো ফোল্ডারে যাতায়াত করা যায় অথবা এক নজরে জেনে নেয়া যায় হার্ড ডিস্কে ফোল্ডারটির অবস্থান। তবে এই সুবিধাটি প্রথম দেখা যায় উইন্ডোজ ভিসতায়, যা ম্যাক ওএস এক্স লেপার্ডের প্রায় এক বছর আগে বাজারে আসে। তবে সুবিধার দিক দিয়ে উইন্ডোজে এই বিষয়টি যার নাম উইন্ডোজ অ্যাড্রেস বারই এগিয়ে।
ব্যাক এবং ফরওয়ার্ড বাটন
ফোল্ডার উইন্ডো অর্থাৎ, হার্ড ড্রাইভ ব্রাউজ করার সময় ব্রাউজারের মতোই পেছনে (ব্যাক) অথবা সামনে (ফরওয়ার্ড) যাবার জন্য বাটন যোগ করা হয় উইন্ডোজ ২০০০-এ। মজার ব্যাপার হলো, ম্যাকে অনেক আগে থেকেই ব্যাক বা পেছনে যাবার অপশন থাকলেও ফরওয়ার্ড কোনো বাটন ছিল না। উইন্ডোজের দেখাদেখি পরবর্তীতে ম্যাক ওএস এক্স ১০.২ জাগুয়ারে ফরওয়ার্ড বাটন যোগ করা হয়।
অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো মিনিমাইজ
ম্যাকে আগে নিচের ডকে অ্যাপ্লিকেশনের লঞ্চার থাকলেও মিনিমাইজ করলে সেই উইন্ডোজ আলাদাভাবে দেখাতো। আবার ম্যাক্সিমাইজ করলে তা ডক থেকে উধাও হয়ে যেত। এখনও তেমনটাই হয়, তবে ম্যাকের সর্বশেষ সংস্করণে নতুন যোগ করা হয়েছে লঞ্চারেই মিনিমাইজ করার সুবিধা, যা ডিফল্ট অবস্থায় বন্ধ থাকে। এটিও মূলত উইন্ডোজের টাস্কবার থেকেই শিখেছে অ্যাপল।
স্ক্রিন শেয়ারিং
ম্যাক ওএস এক্স ১০.৫-এ অ্যাপল ছোট একটি ব্যবহারোপযোগী টুল যোগ করে যার নাম স্ক্রিন শেয়ারিং। এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকা অন্য ম্যাকের সঙ্গে তারহীনভাবেই যোগাযোগ স্থাপন করা যায় এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানের কম্পিউটারের ডেস্কটপ দেখা এবং নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে উইন্ডোজে রিমোট ডেস্কটপ কানেকশন নামে অনেক আগে থেকেই সুবিধা যোগ করা ছিল। শুধু তাই নয়, অ্যাপল তাদের নিজস্ব স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন বের করার আগে মাইক্রোসফটই ম্যাকের জন্য রিমোট ডেস্কটপ কানেকশন সুবিধাটি তৈরি করেছিল।
টাইম মেশিন
টাইম মেশিন উইন্ডোজ থেকে চুরি করেনি অ্যাপল, তবে টাইম মেশিন যে কাজ করে, সেই পুরো ধারণাটাই উইন্ডোজ থেকে নিয়েছে অ্যাপল। তবে এই ধারণার জনক উইন্ডোজ হলেও টাইম মেশিন ব্যবহার উইন্ডোজের ব্যাকআপ অ্যান্ড রিস্টোর এর তুলনায় অনেক বেশি সহজ ও ব্যবহারবান্ধব বলেই মন্তব্য করেন অনেকে।
সিস্টেম প্রেফারেন্স
ম্যাকিনটশ অপারেটিং সিস্টেমে ওএস এক্স সংস্করণগুলোর পূর্বে ম্যাকে কন্ট্রোল প্যানেল নামে আলাদা একটি স্থানে সিস্টেম সেটিংসের যাবতীয় ফোল্ডারগুলো পাওয়া যেত। মাইক্রোসফট পরবর্তীতে উইন্ডোজের জন্য একই নাম ব্যবহার করে কিন্তু অনেক উন্নত ও আরো সহজ এবং ব্যবহারবান্ধব উপায়ে তৈরি করে কন্ট্রোল প্যানেল। এরপর পরই ওএসএক্স ১০.০ চিতায় অ্যাপল মাইক্রোসফটের তৈরি করা কন্ট্রোল প্যানেলের ধারণা সম্পূর্ণটাই ম্যাকে কাজে লাগায় এবং এর নাম দেয় সিস্%E
এইগুলোকে আসলে সরাসরি নকল বলা যায় না। তুমি লন্ডন যেতে যে পথ ব্যবহার করবে, আমি লন্ডন যেতেও একই পথে যাবো। তার মানে আমি তোমাকে নকল করে লন্ডন যাচ্ছি না। 🙂 নাকি এটি নকল বলে ধরা হবে?? 🙁
তুলনা করার আগে বোধহয় ভেবে নেয়া উচিৎ ছিল তুলনাটা চলে কি না। লন্ডনের রাস্তার সঙ্গে কম্পিউটারের সুবিধা বা ফিচারের আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে।
লেখাটার অপেক্ষায় ছিলাম……
মাইক্রোসফট তো চিল্লায় না….বিল গেস্ট তো একদম চুপচাপ।
স্টীভের পেট খারাপ না মাথা খারাপ? ওহ! ব্যবসা খারাপ!
এই সব নিয়ে চিল্লাচিল্লি করে কোন লাভ নেই। এই সব নিয়া আমরাই বেশি চিল্লাই। আমাদের তো কোন কাজ নাই। 😛
ব্যাবসাটা ভিন্ন জিনিস। স্টিভসের ব্যাবসাতো ইদানিং ভালই চলছে-আইফোন আর আইপ্যাড দিয়ে মানুষের টাকা ঘরে তোলতাছে।
এভাবে চিন্তা করলেই হয়, একটা বাচ্চা, তার পরিবারের মানুষদের দেখে শিখে, বাম হাত নয়, ডান হাতে খেতে হয়। কিন্তু কেও কিন্তু তাকে বলে না, তুমি তোমার বড় কে নকল করছো।
এভাবে কেন আমরা ভাবি না যে, শেষ কথা হচ্ছে, ইউজার ফ্রেন্ডলি কি না ????? উইন্ডোজ আগে আনুক, অথবা, ম্যাক। কেননা, আপনি যদি আমাকে প্রমান দিয়েও দেখান যে উইন্ডোজ পুরাটাই ম্যাক থেকে চুরি করা, আমি কেন, উইন্ডোজ ইউজার রা কিন্তু উইন্ডোজ ছেড়ে যাবে না। আবার একই কথা ম্যাক এর জন্যও খাটে।
🙂
ভাই রে ম্যাক এর মেলা দাম ……… 🙁
একমত না হয়ে পারলামনা
তবে ওরা যা করছে তা হল বিজনেসের মারপ্যাচ
হা হা হা …।। ভালই বলেছেন ……”বিজনেসের মারপ্যাচ”
🙂
ম্যাকের হার্ডওয়ার অ্যামেরিকা ও ক্যানাডা ছাড়া অন্যান্য দেশে ভাল দামে ততটা সহজলভ্য না। যদিও বা পাওয়া যায় বেশ দামের কারনে অনেকের পক্ষে ইচ্ছা থাকলেও কেনা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাছাড়া কখনও সামান্যতম সার্ভিছ্ করাতে গেলেও বেশ মোটা অঙ্কের টাকা পরিশোধ করতে হয়, যা ইউজারদের অনাগ্রহের বা মাথাব্যাথার অন্যতম কারন। তাছাড়া উইন্ডোজ বেইজড হার্ডওয়্যার এর মত যে কোন আলাদা পার্ট সল্প মূল্যে সহজলভ্য নয়, সেরকম প্রোয়োজন হলে অ্যাপল অথোরাইজ্ড সেন্টার এ যেতে হয়, অ্যাপল এর যে কোন এক্সেসরিজের দামও অনেক।
অন্যদিকে উইন্ডোজের যে কোন সমস্যা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ব্যাবহারকারী নিজেই সমাধান করতে পারে, সেটা যদি হার্ডওয়্যার এর ক্ষেত্রেও হয় অনেক সময় এ্যাডভান্সড্ ইউযাররা নিজেই ট্রাবলস্যুট করে ফেলতে পারে। এমনকি আমরা সকলেই জানি যে কোন একটি কিংবা একাধিক হার্ডওয়্যার পার্ট খারাপ হলে সার্ভিছ করা না গেলে বিভিন্ন মুল্যে বিভিন্ন কোয়ালিটির হার্ডওয়্যার পার্টটি বাজার থেকে সহজেই এনে রিপ্লেছ্ করা যায়। উইন্ডোজকে সহজেই নিজেরমত করে কাষ্টমাইজ করে বাড়িয়ে কমিয় Existing system এর সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া জায়। উইন্ডোজ এর সাপোর্টং রিসোর্সও প্রচুর পাওয়া যায় তা যে কোন গেমস্ বা সফ্ টওয়্যার হোক। যে কোন প্রয়োজনীয় এ্যাপ্লিক্যাশন দোকানে আপনি চাইলেই উইন্ডোজ ভারশন পাবেন আর ম্যাক ভারশন চাইলে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে। তাই উইন্ডোজ এর গ্রহনযোগ্যতা সারা দুনিয়ায় একটু বেশীই বলতে হয়।
উইন্ডোজের যে ১০টি ফিচার নকল করেছে ম্যাক : বিজ্ঞান ☼ প্রযুক্তি
iqdszskird http://www.g8j0a4op8b941fas09g57k590w3qjxf2s.org/
aiqdszskird
[url=http://www.g8j0a4op8b941fas09g57k590w3qjxf2s.org/]uiqdszskird[/url]
Enjoy 68% off Louis Vuitton Canada Bags Sale With Fast Free Shipping
Louis Vuitton Leather Canada
I’ve attempted to utilize, but It does not works by any means.