আমাদের জীবনের সাথে নিবির বন্ধনে যুক্ত হয়ে গেছে ইলেকট্রিসিটি। বর্তমান সময়ে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল কাজেই কম বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি। তাই ইলেকট্রিসিটি সম্পর্কে মোটামটি ধারণা থাকাটা টেকনিক্যাল এবং ননটেকনিক্যাল সকলের জন্যই জরুরী। যদি বলাহয় ইলেকট্রিসিটি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণার কথা, মনে পড়ে যায় ছোট বেলার কথা। ছোট বেলায় ব্যাটারী এবং টর্স বাল্ব নিয়ে খেলা করেন নি এমন মানুষের সংখ্যা হয়তবা কমই হবে। আসলে এখান থেকেই আমাদের বেসিক ইলেকট্রিসিটি সেখা শুরু। আমরা পর্যায় ক্রমিকভাবে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
………………………………………………………………………
ছোট বেলার সেই টর্চ বাল্ব আর ব্যটারী, বেসিক ইলেকট্রিসিটি
কেমন হয় যদি ছোট বেলার সেই টর্চ বাল্ব সার্কিটটিকে এনিমেশনের মাধ্যমে দেখানো হয়। তাহলে দেখে নেয়া যাক
প্রয়োজনীয় উপকরণ
একটা টর্চ বাল্ব বা DC বাল্ব (সার্কিটে 12v দেখানো আছে 3v বা 6v হলেও চলবে)
একটা ব্যাটারী (সার্কিটে 12v দেখানো আছে 3v বা 6v হলেও চলবে)
একটা বৈদ্যুতিক সুইচ
সার্কিট সম্পর্কে কিছু কথা
ব্যাটারী:
ব্যটারী হল DC বা Direct Current সোর্স । যা বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চয় করে রাখে।
বৈদ্যুতিক সুইচ
বৈদ্যুতিক সার্কিট সম্পন্ন করা এবং সার্কিটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
DC বাল্ব
DC বাল্ব এমন বৈদ্যুতিক শক্তিকে আলোক শক্তিতে রূপান্তর করে।
সার্কিট বিশ্লেষণ
উপরের বেসিক সার্কিটটি উপস্থাপনা করার কারণ বৈদ্যুতিক সার্কিট সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য। বৈদ্যুতিক সার্কিট হল একটা বদ্ধ পথ, যে পথের মধ্যে দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয়। আমরা সার্কিটটিতে একটা ব্যাটারী এবং একটা বাল্ব একটা সুইচ এর মাধ্যমে যুক্ত করেছি। যখন সুইচটি ON করা হয় তখন সার্কিটটি সম্পর্ণ হয়, কারেন্ট প্রবাহ শুরু হয় এবং বাল্বটি জ্বলে উঠে, আর যখন সুইচটি OFF করা হয় তখন সার্কিটটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে এবং বাল্বটি নিভে যায়।
কারেন্ট প্রবাহ
ব্যাটারী বা কোন বৈদ্যুতিক সোর্সকে যখন কোন সম্পূর্ণ সার্কিটে সংযুক্ত করা হয় তখন ব্যাটারী থেকে ইলেকট্রনের চলাচল শুরু হয় । ইলেকট্রন নেগেটিভ চার্জ বহন করে। ঠিক যে দিক থেকে ইলেকট্রন চলাচল করে তার ঠিক বিপরীত দিক থেকে পজিটিভ চার্জের প্রবাহ চলে, আর এই পজিটিভ চার্জের প্রবাহই হল কারেন্ট যাকে হোল প্রবাহও বলা হয়।
………………………………………………………………………………..
আজ এ পর্যন্তই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল ।