আমাদের মতো দেশে এখন কম দামের বা বাজেট স্মার্টফোন গুলো খুব বেশী মার্কেট পাচ্ছে এবং বিক্রিও হচ্ছে অনেক। এই দিক দিয়ে বিচার করলে আমাদের দেশী কোম্পানি যেমন সিম্ফনি বা ওয়ালটন তুলনামূলক কম দামে অনেক হাই কনফিগার ফোন বাজারে ছাড়ছে। মাইক্রোসফটও দেখি আস্তে আস্তে আমাদের দেশীও বাজার ধরার চেষ্টা করছে আর তাঁরই ধারাবাহিকতায় বাজারে আসছে আরেকটি বাজেট বান্ধব লুমিয়া ফোন।
“লুমিয়া ৫৩২” বাজারে আসছে সর্বাধুনিক উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ৮.১ নিয়ে। সাথে থাকছে স্নাপড্রাগনের কোয়াড কোর প্রসেসর এবং মাইক্রোসফটের সব জনপ্রিয় অ্যাপ যেমন-স্কাইপ,ওয়ানড্রাইভ,অফিস ইত্যাদি।
ভিডিও কল করার জন্য দেয়া হয়েছে ফ্রন্ট ভিজিএ ক্যামেরা, আর ব্যাক ক্যামেরা দেয়া হয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল। আমার কাছে অনন্যা সব ফিচারের মদ্ধে একটি ফিচার অনেক বেশী ভালো লেগেছে সেটি হল অনলাইন স্টোরেজ। আমাদের মদ্ধে এমন অনেক ইউজার আছেন যারা তাদের প্রয়োজনীয় ফাইল কিংবা ছবি অনলাইন স্টোরেজে আপলোড করে থাকেন। তবে সমস্যা একটাই সেটি হল অনলাইনে আমরা যেসব ফ্রি আপলোডার ব্যাবহার করি তাঁরা আমাদের খুব বেশী “স্টোরেজ” দেয় না। তাই আমাদের মতো ইউজারের কথা চিন্তা করে মাইক্রোসফট আপনাকে দিচ্ছে ওয়ানড্রাইভে ৩০জিবি পর্যন্ত ফি স্পেস। আপনার প্রয়োজনীয় সকল ফাইল আপলোড করে নিশ্চিন্তে থাকুন। ফোন হারিয়ে গেলেও ডাটা থাকবে অক্ষুন।
চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এক নজরে দেখে নেই ফোনের মূল ফিচার গুলো-
- ফোনটিতে আপনি একই সাথে ২টি সিম কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। যদিও ৩.৫জি সাপোর্ট করবে যেকোনো একটি সিমে।
- কোয়াড কোর ১.২ গিগাহার্জ প্রসেসর।
- দ্রুত কাজ এবং সব ধরনের গেম খেলার জন্য দেয়া হয়েছে ১জিবি র্যাম।
- ডিসপ্লে দেয়া হয়েছে ৪ ইঞ্চি যার রেজুলেশন ৪৮০X৮০০ পিক্সেল।
- ব্যাক ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল (ফ্ল্যাশ নেই) আর ফ্রন্ট ভিজিএ।
- ফোন মেমোরি দেয়া হয়েছে ৮জিবি তবে চাইলে আপনি এক্সটারনাল মেমোরি কার্ড ব্যবহার করে স্টোরেজ আরও বাড়াতে পারবেন।
- পাচ্ছেন ফাস্টার ৩জি কানেকশন।
- আছে ১৫৬০এমএইচ ব্যাটারি।
- পাবেন লাইট, আক্সেলেরো, এবং প্রক্সিমিটি সেন্সর।
- ব্লুটুথ ৪.০ এবং ওয়াইফাই।
- আরও অনেক কিছু।
- জেহুতু এটি আপকামিং ফোন তাই এর দাম এখনি ঠিক করে বলতে পারছি না তবে ধারণা করা হচ্ছে ১০হাজারের নিচেই থাকবে।
- ফোনটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে যেতে পারেন এই লিংকে।
পরিশেষে আমার বক্তব্য-
আমার কাছে ফোনের আউট লুক প্লাস কনফিগার ২টি ভালো লেগেছে। তবে একটা জিনিষ ভালো লাগেনি সেটা হল এর ব্যাটারি ব্যাকআপ। বেশী বেশী গেমস খেললে বা ব্রাউজ করলে একদিন চার্জ থাকবে কিনা সন্দেহ। তাছাড়া ক্যামেরাতে কোন ফ্ল্যাশ লাইট দেয়া হইনি। জেহুতু এটি “বাজেট ফোন” কিছু করার মেনে নিতেই হবে।
আরেকটি কথা বলা বাহুল্য, এটি কিন্তু উইন্ডোজ ফোন তাই কেনার আগে একটু ভেবে চিনতে কিনবেন, পড়ে যাতে আপনাকে আফসোস করতে না হয়। সত্যি বলতে উইন্ডোজ ফোন ব্যবহারে অনেক খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার।