আপনার পড়ার টেবিলের টেবিল ক্লথে C=mc2 সুত্রটি লেখা আছে অথবা আপনার বেডসিটের ডিজাইনটিতে α,β,Ω, ইত্যাদি গাণিতিক প্রতিকের গ্রাফিক্যাল সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। আপনার ২ বছরের শিশুটি হয়তবা এর কিছুই বুঝবে না কিন্তু সে এগুলোর সংস্পর্শে থাকতে থাকতে এগুলো দেখতে দেখতে এগুলো সম্পর্কে একটা প্রাথমিক স্মৃতি সংযোগ তৈরি হয়ে যাবে। তার কৌতুহলী মনের গহীন থেকে বেরিয়ে আসতে পারে একটা দুইটা প্রশ্ন। আপনার সুযোগ হয়ে যাবে সে বিষয় সম্পর্কে কিছুটা বিস্তারিত জানানোর। হয়তবা শিশুটির বয়স ৪-৫ বছর হতে হতেই শিখেও যেতে পারে C=mc2, গণিতের (a+b)2=a2+2ab+b2 অথবা রসায়নের 2H2+O2=2H2O এর সারমর্ম ।
……………………………………………………………………………………..
আজকের কৌতুহলী শিশুটি হবে ভবিষ্যতের একজন সফল বিজ্ঞানী (পর্ব-১) এর মাধ্যমে শিশুদের কৌতুহল, মানষিক বিকাশ, চিন্তা-চেতনার বিকাশে শিশুকালের ভূমিকা সহ বিজ্ঞান পাঠে আমাদের যোগ্যতা কতটুকু বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে। এখন আমাদের জানা দরকার শিশুদের কৌতুহলী মনের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ কিভাবে সৃষ্টি করতে হবে।
- থাকার ঘর: শিশুদের থাকার ঘরটি হবে মাঝারী গোছের, যেখানে সে হাটা-চলা অথবা বসে বসে খেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা পাবে। ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যদি সম্ভব হয় শিশুটি যেন তার ঘর থেকেই আকাশ দেখতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। নীল আকাশে পাখিদের ওড়াওড়ি শিশুদের কৌতুহলকে বিস্তৃত করে।
- দেওয়ালের পেইন্টিং:
দেয়ালের পেইন্টিং এ ফুটিয়ে তোলা যেতে পারে সৌর জগৎ, মানব দেহের বিভিন্ন অংশ, বিভিন্ন প্রাণী উদ্ভিদের সমন্বয়ে সৃষ্ট বন-বনানী, সমুদ্র সৈকত অথবা যে কোন বিজ্ঞান বিষয়ক উপকরণ যা শিশুদেরকে এ সকল বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করবে।
-
দেওয়ালের পোট্রেট বা চিত্র: দেয়ালের পোট্রেট হিসেবে আমরা বিভিন্ন বিজ্ঞানী বা বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি সহ ছবি রাখতে পারি, যা শিশুদের মনষিক বিকাশে এবং জীবনের লক্ষ ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে দিক নির্দেশনা রূপে কাজ করবে। শিশুদেরকে বড় হয়ে মহৎ এবং জনকল্যানমূলক কাজে অত্মনিয়োগ করার মানষিকতা তৈরি করবে। অন্যদিকে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের পরিচিতি এবং ইতিহাস কষ্ট করে মুখস্ত করতে হবে না। যদি আপনি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই সামনেই সংক্ষিপ্ত পরিচিতি সহ আইনস্টাইনের ছবি দেখতে পান তাহলে নিশ্চই আইনস্টাইনের জন্ম কত সালে? এই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে মুখস্ত করে রাখতে হবে না।
- গাণিত এবং বিজ্ঞানের সূত্র সমূহের গ্রাফিক্স : গণিত এবং বিজ্ঞানের সূত্র সমূহের বৃহৎ তালিকা প্রস্তুত না করে সেগুলো দিয়ে সুন্দর গ্রাফিক্স ডিজাইন করে দেওয়ালে বা আসবাবপত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। হয়তবা আপনার পড়ার টেবিলের টেবিল ক্লথে C=mc2 সুত্রটি লেখা আছে
অথবা আপনার বেডসিটের ডিজাইনটিতে α,β,Ω, ইত্যাদি গাণিতিক প্রতিকের গ্রাফিক্যাল সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। আপনার ২ বছরের শিশুটি হয়তবা এর কিছুই বুঝবে না কিন্তু সে এগুলোর সংস্পর্শে থাকতে থাকতে এগুলো দেখতে দেখতে এগুলো সম্পর্কে একটা প্রাথমিক স্মৃতি সংযোগ তৈরি হয়ে যাবে। তার কৌতুহলী মনের গহীন থেকে বেরিয়ে আসতে পারে একটা দুইটা প্রশ্ন। আপনার সুযোগ হয়ে যাবে সে বিষয় সম্পর্কে কিছুটা বিস্তারিত জানানোর। হয়তবা শিশুটির বয়স ৪-৫ বছর হতে হতেই শিখেও যেতে পারে C=mc2, গণিতের (a+b)2=a2+2ab+b2 অথবা রসায়নের 2H2+O2=2H2O এর সারমর্ম । হয়তবা অনেকেই বলবেন ৪-৫ বছরের শিশুদের বীজগণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন শিখিয়ে কি হবে, তারা তো আর কোন পরীক্ষা দেবে না। ঠিক ভুলটা আমরা এখানেই করে থাকি। আমরা মনে করি শুধু মাত্র পরীক্ষা পাশের জন্যই লেখাপড়া। আসলে আমরা যতটুকুই বিজ্ঞান চর্চা করি তার পুরোটাই আমাদেরকে চাপিয়ে দেয়া হয়। হয় পরীক্ষার জন্য, নয়তবা অফিসের বসকে খুশি দেখার জন্য অথবা আমার উপর চাপিয়ে দেয়া দায়িত্বের বোঝাটা দায়সাড়াভাবে কোন রকমে নামানোর জন্যই আমরা বিজ্ঞান চর্চা করে থাকি।
আমাদের এই মানষিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। আমরা আর বিজ্ঞানকে বোঝা হিসেবে নিজের ঘাড়েও তুলব না কারো ঘাড়ে চাপিয়েও দেব না। আমাদের শিশুরা যদি আমাদের একটু সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সতস্ফুর্তভাবেই পরিবেশ থেকে দেখে দেখে শিখতে পারে সেখানে আমরা কেন তাদের হাতে ধরিয়ে দিই গনিত, পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রের তালিকা? যদি চাপিয়ে দেয়া না হয় তাহলে সফটওয়্যার প্রোগ্রামিং এর মত জটিল বিষয়ও শিশুদের দ্বারা স্বতস্ফুর্ত ভাবেই শেখানো সম্ভব। শুধুমাত্র প্রয়োজন মনের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি করা আর সৃজনশীল মনটাকে একটু জাগিয়ে দেয়া।
শিশু-কিশোরদের বিজ্ঞান মন্সক করতে প্রয়োজন মনের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি করা আর সৃজনশীল মনটাকে একটু জাগিয়ে দেয়া
দ্বিপর্বীয় পোষ্টটি ভাল্ভাবে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ 🙂
ধন্যবাদ লাকি এফএম । আজকের কৌতুহলী শিশুটি হবে ভবিষ্যতের একজন সফল বিজ্ঞানীঃ পর্ব তিন ও হয়তবা পেতে পারেন।
তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় 🙂
আজকের কৌতুহলী শিশুটি হবে ভবিষ্যতের একজন সফল বিজ্ঞানীঃ পর্ব তিন এর অপেক্ষাতে থাকলাম……
হাসেম ভাই ধন্যবাদ,
হতে পারে আগামী ৩ মাসের মধ্যে আজই আপনাদের সাথে আমার শেষ সক্ষাত । DUET ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আগামীকাল আমাকে কুষ্টিয়া ছেড়ে ৩ মাসের জন্য ঢাকা যেতে হচ্ছে। এ সময় আমার সাথে আমার ২.৫ বছরের সঙ্গী কম্পিউটারটি থাকবে না। সবাইকে খুব মিস করব।
আমরাও আপনাকে মিস করব। শুভকামনা রইলো। পরীক্ষায় সফল হয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসুন।
সংক্ষিপ্তাকারে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ… 🙂
বাপরে!
absolutely right….
this time to think different…….